২১ নভেম্বর ২০২৫, ০২:২৩ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস এর ৫০ বছর পূর্তীতে ঝালকাঠি জেলা জাসাসের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাংলাবান্ধায় ভারসাম্যহীন নারী গণধর্ষণেন শিকার চার ধর্ষক আটক বাবুগঞ্জে ছাত্রদল নেতা হত্যাকাণ্ড: ২১ জনের নামে মামলা!
বাগেরহাট-৩ জামায়াতের প্রার্থী চূড়ান্ত, বিএনপিতে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের হিড়িক

বাগেরহাট-৩ জামায়াতের প্রার্থী চূড়ান্ত, বিএনপিতে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের হিড়িক

এস. এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট: আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাগেরহাট-৩ (মোংলা-রামপাল) আসনে সম্ভাব্য জামায়াতের একক প্রার্থী চূড়ান্ত হলেও বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি’র একাধিক প্রার্থী মাঠে রয়েছেন। জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী চূড়ান্ত হলেও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল–বিএনপিতে একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী এখনো মাঠে সক্রিয় রয়েছেন, যা দলটির অভ্যন্তরীণ সমন্বয়হীনতার চিত্রও তুলে ধরছে।সম্ভাব্য এসব প্রার্থীরা গণসংযোগ, উঠান বৈঠক, সভা সমাবেশ করে প্রার্থীতার জানান দিচ্ছেন। পাশাপাশি ভোটারদের দোয়াও চাচ্ছেন। দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাহিরে থাকা বিএনপি এ আসনটি ফিরে পেতে মরিয়া। তারা তৃণমূল পর্যায়ে দলকে সুসংগঠিত করছেন। পাশা-পাশি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এর নেতা-কর্মী সমর্থকদের মাঝে নির্বাচন কেন্দ্রীক কর্মচাঞ্চল্য দেখাগেছে।

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. ইউনূসের সাথে বিএনপিথর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আলোচনায় নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ আগামী ২৬ সালের ফেবুয়ারির মাঝামাঝি ঘোষণার পর বাগেরহাট-৩ (মোংলা-রামপাল) আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা নড়েচড়ে বসেছেন।

এই আসনে জামায়াতের সম্ভাব্য একক প্রার্থী বাগেরহাট জেলা জামায়াতে নায়েবে আমির এ্যাডভোকেট মাওলানা শেখ আব্দুল ওয়াদুদের নাম ঘোষণা করা হলেও বিএনপি’র সম্ভাব্য একাধিক প্রার্থী মাঠে নির্বাচনী প্রচারণায় রয়েছেন। জাতীয় পার্টি নিস্ক্রিয় এবং এনসিপির নির্বাচনী তৎপরতা এমুহুর্তে নেই বললে চলে।

প্রার্থীরা পৃথক পৃথকভাবে কর্মীসভা,সমাবেশসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগদান করছেন। হাট-বাজার রেলস্টেশন, চায়ের দোকানসহ জনবহুল এলাকাগুলোতে ভোটারদের মুখে নির্বাচনের সম্ভাব্য এসব প্রার্থীদের নাম নিয়ে চলছে খোশ গল্প।

সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন- বাগেরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সেভ দ্যা সুন্দরবন ফাউন্ডেশন’র চেয়ারম্যান লায়ন ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল হালিম খোকন।

বিএনপির নেতা, কর্মী সমর্থকদের সাথে কথা হলে তারা জানান, নির্বাচনে জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নেমে পড়া এখনই উপযুক্ত সময়। তারা জনগণের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে দলীয় এজেন্ডা তুলে ধরছেন। এছাড়াও, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক সহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। আগামী নির্বাচনে বিএনপির সর্বোচ্চ নিতি নির্ধারনী পর্যায় থেকে যাকে মনোনয়ন প্রদান করা হবে, তার সাথে কাজ করতে সকল নেতাকর্মী অঙ্গীকারাবদ্ধ বলে জানাগেছে। সরাসরি জনগণের ভোটে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন কারাই দলগুলোর মূল লক্ষ।

উল্লেখ্য, ১৯৯১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত চারটি সংসদ নির্বাচনেই এই আসনে আওয়ামী লীগের বিপক্ষে প্রার্থী দিয়েছিল জামায়াত। সব কটি নির্বাচনেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন জামায়াতের প্রার্থী। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে এই আসন থেকে বিএনপি ও জামায়াত আলাদাভাবে নির্বাচন করেছিল। বিএনপির প্রার্থী সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান পেয়েছিলেন ১৭ হাজার ৮১২ ভোট। জামায়াতের প্রার্থী গাজী আবু বকর সিদ্দিক পেয়েছিলেন ৩২ হাজার ২০৫ ভোট। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনেও বিএনপি ও জামায়াত আলাদা নির্বাচন করেছিল। জামায়াতের প্রার্থী গাজী আবু বকর সিদ্দিক পেয়েছিলেন ৩৪ হাজার ৩২১ ভোট। আর বিএনপির প্রার্থী এ ইউ আহমেদ পান ২১ হাজার ৫৫০ ভোট। ২০০১ সাল থেকে জোটবদ্ধ নির্বাচনে এই আসনটি জামায়াতকে ছেড়ে দেয় বিএনপি। ২০০১ ও ২০০৮ সালের দুটি নির্বাচনেই জামায়াতের প্রার্থী পরাজিত হন।
##*

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019